SBN: জিরে গুঁড়ো বা ধনে গুঁড়ো মশলায় কাঠের গুঁড়োর মেশানোর অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। লঙ্কা-হলুদেও কাঠের গুঁড়ো মেশানো হয়। ভেজাল মশলা তৈরি করে বিক্রি করার করার অভিযোগ আসতেই বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ, জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা অভিযান চালায়। পূর্বস্থলীর খড়দত্তপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মশলা উদ্ধারের পাশাপাশি বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। ধৃতরা হল সামিরুল শেখ, কেষ্ট সিংহ, সাহামল শেখ ও মণিরুল শেখ। তাদের সকলেরই বাড়ি পূর্বস্থলী থানা এলাকায়। মশলার নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী থানার খড়দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা সামিরুল শেখের বাড়ির কাছেই রান্নার মশলার কারবার রয়েছে। বড়সড় এই কারবারে তার বেশ কয়েকজন কর্মচারিও রয়েছে। সেই মশলা বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে তারা প্রচুর মুনাফাও লাভ করে। কয়েকদিন ধরেই পুলিশের কাছে গোপনসূত্রে খবর আসে দোকান মালিক সামিরুল ও তার কর্মচারিরা ধনে, জিরে, লঙ্কা, হলুদের মতো বিভিন্নরকম মশলায় ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে।
এরপরেই পূর্বস্থলী থানার পুলিশ তদন্তে নামে। বৃহস্পতিবার সামিরুলের সেই কারবারে পুলিশ, জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা হানা দেন। সেখান থেকে লাল ও খয়েরি রংয়ের বেশ কিছু গুঁড়ো জাতীয় দ্রব্য ও মশলা উদ্ধার করা হয়। এরপরেই দোকান মালিক সামিরুল সহ তিন কর্মচারিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, গোপনসূত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসতেই ওখানে সামিরুলের কারবারে অভিযান চালানো হয়।
খাদ্য সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমএইচ ২ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “ফুড সেফটি অফিসাররা পুলিশের সঙ্গে অভিযানে যান। বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কলকাতার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয়েছে।”
যদিও সামিরুলের পরিবার জানায়, তারা কোনও বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওই এলাকায় এইরকম আরও অনেক কারবার রয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের কারবারের বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই কারবারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।