SQUARE BY NEWS: দীর্ঘদিনের জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি ও বউমাকে খুনের অভিযোগ উঠল নন্দকুমারে। নন্দকুমারের বরগোদা এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। আক্রমণকারী প্রতিবেশীদের ছোড়া ইট, রড, কাচের বোতলের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ শ্বশুরও। স্থানীয় ও পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার বরগোদা এলাকার দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা গুরুপদ দাসের সঙ্গে তাঁর ভাই সুভাষ ও কিশোরী দাসের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। এমন অবস্থায় রবিবার দুপুরে বাড়ির কিছুটা দূরে জমিতে মাটি কেটে বিক্রি করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। অভিযোগ, আর সেই ঝামেলার সূত্র ধরেই ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সুভাষ দাস তাঁর দলবল নিয়ে চড়াও হন দাদা গুরুপদ দাসের বাড়িতে। সুভাষ ও কিশোরী দাসের দলবল রড, কাঁচি ও কাচের বোতল দিয়ে মারধর শুরু করেন গুরুপদ ও তাঁর স্ত্রী মিনুরানি দাসকে (৬২)। এই ঘটনায় আড়াই বছরের ছেলেকে বিছানায় শুইয়ে রেখে শ্বশুর ও শাশুড়িকে বাঁচাতে বাড়ির ভিতর থেকে ছুটে আসেন বউমা সুপ্রিয়া দাস (২৪)। আর তখনই তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্বশুর, শাশুড়ি এবং বউমাকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বউমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালেই মৃত্যু হয় শাশুড়ি মিনুরানি দাসের। এদিকে, এই ঘটনার পর এলাকা ছাড়া হয়েছেন অভিযুক্ত প্রতিবেশীরা। যদিও পুলিশ শ্রীনিবাস দাস ও ঋষিকেশ দাস নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। তবে এদিন সন্ধে পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত সুভাষ, কিশোরী দাস- সহ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন নন্দকুমার থানা ওসি অমিত দেব। তিনি জানিয়েছেন, “পারিবারিক জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”