নিজস্ব সংবাদদাতা: গরমের তীব্রতা যেন আর কাটছেই না। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। নেই বাতাস, নেই বৃষ্টি, ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস যেন লু-হাওয়া। সকাল ১০টার পর বাইরের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ঘরের বাইরে বেরলেই সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে একাকার। তীব্র তাপের কারণে হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার ব্যাপকহারে কমে গেছে। কাঠফাটা রোদে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দুপুরে পথ-ঘাট খাঁ খাঁ করছে। গরমে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সবচেয়ে বেশি গরম ছিল বাংলার কলাইকুন্ডায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আলিপুরের রিপোর্ট অনুযায়ী,গতকাল রাজ্যের সব জেলাকে টেক্কা দিয়েছে কলাইকুন্ডা। মৌসম ভবন কলাইকুণ্ডাইকেই এক নম্বরে রাখে। আজ সেখানে দুপুর ১২: ৩০ পর্যন্ত তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমত অবস্থায় কি করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীরা বলছেন প্রচণ্ড গরমে কাজ-কর্ম করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমে রাতে ঠিকমতো ঘুমানোও যাচ্ছে না। কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড তাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশিম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুর সহ খেটে খাওয়া সব শ্রেণির মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য কাজের ফাঁকে তারা ছুটছে গাছের ছায়াতলে।
kalaikunda Weather: বাংলার অন্যান্য জেলার সঙ্গে জোর টক্কর, গরমে পিছিয়ে নেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কালাইকুন্ডা
