নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে গত কয়েকমাসে একাধিক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক ইস্যুগুলি বাদ দিলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে কোনও না কোনও পারিবারিক ইস্যু। ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক’-র জেরে খুনের ঘটনা নতুন নয়। এখনও অতীতে ফিরে দেখলে একাধিক বিভীষিকাময় উদাহরণ উঠে আসবে। তবে হ্যাঁ এবার রাগের বসে জামাইকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার গোঘাটের রঘুবাটির রাজগ্রাম গ্রামে। মৃতের নাম সন্দীপ রুইদাস। বাড়ি কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর এলাকায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে গোঘাটের রঘুবাটির রাজগ্রামের বাসিন্দা ভানু দাসের বড় মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় সন্দীপ রুইদাসের। অভিযোগ বিয়ের পর থেকে জামাইকে মেনে নেয়নি সন্দ্বীপের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গতকাল সোমবার সন্দীপ দাসরুই নামে ওই যুবক কাজের সূত্রে তার শ্বশুরবাড়ির পাশেই মামা বাড়িতে যান। তখনই শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সন্দীপ। অভিযোগ, তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন হঠাৎই শ্বশুর ও শাশুড়ি লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে সন্দীপের ওপর চড়াও হয়। তারপর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সন্দ্বীপের। এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
তারপর মৃত জামাই সন্দীপের দেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিকেল কলেজে মৃতদেহ পাঠানো হয়। এদিকে এই ঘটনায় সন্দ্বীপের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সন্দ্বীপের শ্বশুর ভানু দাস ও শাশুড়ি অনিমা দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মঙ্গলবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।