নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের খাস কলকাতায় আক্রান্ত উর্দিধারী। রাতের শব্দতাণ্ডব থামাতে গিয়ে ঘাড়ধাক্কা খেতে হল এন্টালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের। সঙ্গে জুটল মারও। এমনকী, বাসন ছুড়েও মারা হয় বলে অভিযোগ।
শনিবার মাঝরাতের এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মধ্য কলকাতার এন্টালি থানার অন্তর্গত ১৫৭ আনন্দ পালিত রোডের বাসিন্দা প্রভাত সরকার। গতকাল তার ছেলের জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের ওপরের তলায় পার্টি চলছিল। সঙ্গে ছিল ডিজে বক্স। নিয়ম বলছে, রাত ১০টার পর লোকালয়ে তারস্বরে ডিজে বক্স বাজানো চলে না। সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাত ১টা পর্যন্ত বক্স বাজছিল প্রভাত সরকারের বাড়িতে।
শব্দদানবের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন আশপাশের বাসিন্দারা। বারবার ডিজে বক্স বন্ধ করতে বলেও কোনও সুরাহা করতে পারেননি। বরং আরও তারস্বরে বাজতে থাকে বক্স। শব্দযন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেতে প্রতিবেশীই নিজের মোবাইলে ১০০ ডায়াল করে লালবাজারে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ওই এলাকায় বাইক নিয়ে পেট্রোলিং করতে থাকা পুলিশ আনন্দ পালিতে যে বাড়িতে পার্টি চলছিল সেখানে যায়। প্রথমে ডিজে বক্স বন্ধ করতে বলে পুলিশ। কিন্তু তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি প্রভাত ও তার ভাই বাপি।
অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ছিল দুই ভাই। বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পুলিশকে বাধা দেয়। এমনকী পুলিশের পেট্রোলিং টিমের ওপর চড়াও হয়। শেষে তাঁরা স্থানীয় থানায় ফোন করেন। থানা থেকে সার্জেন্ট ও অফিসাররা আসেন। অভিযোগ, ডিজে বক্স বন্ধ করার চেষ্টা করতেই উর্দিধারীদের ঘাড়ধাক্কা দেয় অভিযুক্তরা। এমনকী, পুলিশকে লক্ষ্য করে বাসন ও খাবার ছুড়ে মারা হয়।
পুলিশকে মারধরের অভিযোগে থানায় প্রভাত, বাপি, বাপ্পা-সহ পার্টিতে থাকা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন প্রভাত ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও কলকাতায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ।