Top NewsEXCLUSIVE: রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হল না অথচ বোর্ড পড়ে গেছে খরচের! নারায়ণগড়ের...

EXCLUSIVE: রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হল না অথচ বোর্ড পড়ে গেছে খরচের! নারায়ণগড়ের খুড়শী অঞ্চলের ঘটনায় চাঞ্চল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাস্তার বেহাল দশা। ঠিকাদারের দায়িত্ব ছিল রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের। কিন্তু সেই কাজ তো করেইনি, বরং রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজের খরচের একটি হিসাব দেখিয়ে একটি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বোর্ড লাগানোর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন সহ স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁরা বোর্ড লাগাতে আসা ঠিকাদারের লোকজনকে আটক করে রাখেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগড় ব্লকের খুড়শি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দুড়িয়া এলাকায়। গত ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্ৰাম সড়ক যোজনায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে খুড়শি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পলাশী থেকে চক্রাজীব পর্যন্ত ৩ কিমি ২১৯ মিটার লম্বা একটি পিচ রাস্তা তৈরি হয়। এই রাস্তাটি তৈরির বরাত পেয়েছিল বিহারের বক্সার এলাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তাটি তৈরি শুরু হয় ২০১৫ সালে। নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।

অভিযোগ সেই পাঁচ বছরে একদিনের জন্য এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কোনও কাজ ঠিকাদার করেন নি। ফলে উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তাটি বেহাল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত পাঁচ বছরের খরচ বাবদ ১৩ লক্ষ ৬ হাজার টাকার একটি হিসাব দেখিয়ে একটি বোর্ড লাগাতে পৌঁছে যান ঠিকাদারের লোকজন। তখনই স্থানীয় তৃণমূলের গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য সহ স্থানীয় মানুষজন বাধা দেন। যদিও এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার পেছনে তৃণমূলের টাকা লুটের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় বিজেপির নেতারা। ফলে এই নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা পুষ্পেন্দু মাইতি বললেন ” রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বিন্দুমাত্র হয়নি। ওরা সকালে এসে এরকম একটি বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা বাধা দিয়েছি। ওদের লোককে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাদের দাবি এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না করার জন্য ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা প্রধানকে জানিয়েছি।” অপরদিকে স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য সুশান্ত রায় বললেন ” ২০১৬ সালে এই রাস্তাটি হয়েছে। তারপর থেকে আর একদিনের জন্যও কাজ করতে আসে নি। অথচ আজকে একটি বোর্ড লাগিয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেখিয়ে। আমরা বাধা দিয়েছি।” তবে গোটা বিষয়টি ভাঁওতা বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা রঞ্জন মাইতি। তিনি বলেন ” এগুলি সব ভাঁওতাবাজি। টাকা লুটের নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

এর জবাব আগামী লোকসভা নির্বাচনে জনগণ দেবে।” এদিকে খুড়শি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান ময়না বেরা বলেন ” রাস্তার বেহাল অবস্থা। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয় নি। অথচ বোর্ড লাগাতে চলে এসেছে। বিষয়টি জেলা পরিষদের শীর্ষ মহলে জানানো হয়েছে।”