Top Newsপুলিস-প্রশাসনের সামনেই সবংয়ে রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের কারবার, কারা রয়েছেন নেপথ্যে?

পুলিস-প্রশাসনের সামনেই সবংয়ে রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের কারবার, কারা রয়েছেন নেপথ্যে?

SBN NEWS: পুলিস-প্রশাসন-পঞ্চায়েত। আছে সবই। সকলের চোখেই সামনেই রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের কারবার। কারা রয়েছেন নেপথ্যে? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের দশগ্রাম,মাশান্ত পুকুর,খেলনা,সারতা এলাকার মানুষ বলছেন, মাসোহারার বিনিময়ে চোখ বন্ধ রাখে আবগারি দফতর। আর তাই বন্ধ হয়েও হয় না চোলাইয়ের ঠেক। পঞ্চায়েতের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ আম জনতা। মেরেকেটে ছয় বর্গ কিলোমিটার। তারমধ্যেই দশটা চোলাই ঠেক। সন্ধে নামলেই বাতাসে ভাসে ঝাঁঝাঁলো গন্ধ। এলাকার কান পাতলেই শোনা যায় একাধিক চোলাই কারবারিদের নাম। রাতের অন্ধকারে প্লাস্টিক ও বস্তাবন্দি হয়ে ঠেকে ঢুকে পড়ে চোলাইয়ের পাউচ ও শিশি। সেই চোলাই ঠেক থেকেই খদ্দেরদের হাতে পৌছে যায়। আর গোটা কারবারটাই রমরমিয়ে চলে একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায়। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একাধিক পঞ্চায়েত অফিস। তার গায়ে রয়েছে সবং থানা। তার ধারেপাশেই খুলে আম চলছে চোলাইয়ের ঠেক।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ,নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে চোখ বুজে থাকে আবগারি থেকে পুলিশ প্রশাসন। শুধু পুলিস নয়। আম জনতা নিশানায় এলাকার রাজনৈতিক নেতারাও। দেখেও না দেখা। বারংবার আবগারি দপ্তর থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনকে চোলায় ব্যবসায়ীদের নাম একাধিক বার বলার পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিষমদের ছোবলে গত কয়েক বছরের সবং ব্লকের একাধিক এলাকায় চোলাই পান করে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কবে ভাঙবে এই চক্র? প্রশ্ন আম জনতার।