Top Newsবৃদ্ধাকে ধর্ষণ-খুনে যাবজ্জীবন কারাবাস

বৃদ্ধাকে ধর্ষণ-খুনে যাবজ্জীবন কারাবাস

নদিয়া: বৃদ্ধাকে গণধর্ষণ করে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনালেন বিচারক। শনিবার রানাঘাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সৌমেন গুপ্ত দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। রবিবার সাজা ঘোষণা হয়। ধৃতদের নির্দিষ্ট ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাস ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৮ মে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। রানাঘাট থানা এলাকায় রেললাইন সংলগ্ন পাড়ায় ওই বৃদ্ধা একাই থাকতেন। একমাত্র মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বৃদ্ধার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই। ঘটনার দিন সকালে বৃদ্ধার মেয়ে এসে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। মেঝেতে অর্ধনগ্ন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা মা। তাঁর সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে মৃতার মেয়ে রানাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে শুভঙ্কর শিকদার এবং তনু সরকার নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধ করার পর শুভঙ্কর এবং তনু মুম্বই পালিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তারা নেপালে পালানোর ছক কষছিল। সেই বিষয়ে কথা বলতে রানাঘাটে এক পরিচিতর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দু’জন। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ মুম্বইয়ে হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। মামলার সরকারি আইনজীবী মিলনকুমার সরকার বলেন, “বৃদ্ধা রাতে শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলেছিলেন। সেই সুযোগেই ঘরে ঢুকে পড়ে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে তারা। মেয়ে সকালে মায়ের খোঁজ নিতে এসেও তাদের দেখতে পায়। কোনও মতে নিজেদের জামাকাপড় পরতে পরতে বেরিয়ে আসছিল তারা।” দোষীদের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা হাতে এখনও অর্ডার কপি পাইনি। কপিতে কী রয়েছে, তা দেখে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।”