Top Newsউপ-ডাকঘরের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ খড়গপুরে

উপ-ডাকঘরের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ খড়গপুরে

খড়গপুর: কেউ যাচ্ছেন টাকা তুলতে। আবার কেউ বা যাচ্ছেন স্পিড পোস্ট করতে। আবার কেউ আধার কার্ড আপডেট করতে। কিন্তু পরিষেবা মিলছে না। দিনের শেষে বলা হচ্ছে, লিঙ্ক নেই। দীর্ঘ এক মাস ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে রেলশহর খড়গপুরের নিমপুরা উপ-ডাকঘরে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে এই পরিস্থিতি চলছে নিমপুরা কনক দুর্গা মন্দির এলাকার এই উপ- ডাকঘরে। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বেশি সমস্যায় পড়েছেন পেনশনভোগী মানুষেরা। এই উপ- ডাকঘরের গ্রাহক সংখ্যা এই মুহূর্তে ছয় হাজারের উপরে। এই উপ- ডাকঘরের দু’টি শাখা রয়েছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার হরিয়াতাড়া ও ধারেন্দা এলাকায়। রয়েছেন পাঁচজন ডেলিভারি কর্মী। বুধবার খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকা থেকে এই উপ-ডাকঘরে টাকা তুলতে এসেছিলেন তারাশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও রঞ্জিত রায় নামে দু’জন গ্রাহক। দু’জনেই বললেন, “টাকা তুলতে এসেছিলাম। লিঙ্ক নেই বলে টাকা তুলতে পারলাম না। প্রয়োজনের সময় টাকা তুলতে না পারায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আবার লিঙ্ক কবে আসবে সেটাও বলতে পারছেন না কেউ। এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে।” আধার কার্ড আপডেট করতে এসেছিলেন শহরের মালঞ্চ এলাকার দীপক সরকার। কিন্তু কাজ না হওয়ায় তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছে। আবার শহরের সুষমাপল্লি এলাকা থেকে স্পিড পোস্ট করতে এসেছিলেন চন্দন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এক মাস ধরে বারবার আসছি। কিন্তু লিঙ্ক না থাকায় স্পিড পোস্ট করতে পারছি না।” জানা গিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে শহরের মালঞ্চ এলাকায় বিএসএনএলের এক্সচেঞ্জ স্থানান্তরিত হয়েছে। তারপর থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে এই উপ- ডাকঘরের। পোস্টমাস্টার শশাঙ্ক শেখর পাত্র বলেন, “গত বছরের ডিসেম্বরে মালঞ্চ এলাকায় বিএসএনএলের এক্সচেঞ্জ স্থানান্তরিত করা হয়। তাতে আমাদের উপ-ডাকঘরের ভিপিএন সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। যদিও এই মাসের ৮ তারিখে এখানে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।”