কলকাতাতিন আসনেই বঙ্গে রফায় রাজি কংগ্রেস !

তিন আসনেই বঙ্গে রফায় রাজি কংগ্রেস !

SBN NEWS : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গে জোট নিয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পর সুর নরম হাইকমান্ডের। কংগ্রেসকে ৩ আসন ছাড়ার কথা আগেই জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। শুক্রবার কালীঘাটের অফিসে দলীয় বৈঠকেও সেই কথা উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। তার পরই শনিবার এইআইসিসি সূত্রে যা ইঙ্গিত মিলেছে তাতে ৩ আসনেই জোট প্রক্রিয়া তারা রফা করে ফেলতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বহরমপুর, মালদহ দক্ষিণের সঙ্গে দার্জিলিং আসনের প্রস্তাব এদিন আলোচনায় উঠে আসে বলে খবর। কং হাইকমান্ড কোনওভাবেই মমতাকে চটাতে যে রাজি নয়, তা আগেই দলের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছিল।

বিজেপিকে হারাতে মমতার রণকৌশলকে তারা হাতিয়ার করতে চায় বলে জানিয়েছিল। সেই সূত্রেই মমতার মনোভাব বুঝে তাঁর শর্তেই কংগ্রেস হাইকমান্ড রাজি হয়ে যেতে পারে বলে খবর সামনে এসেছে। শিলিগুড়িতে এদিন এআইসিসির উপস্থিতিতে প্রদেশ নেতৃত্বের বৈঠক হয়। ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল-সহ এ রাজ্যের পর্যবেক্ষকও। পরে বেণুগোপাল সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের প্রত্যেকে পরিবর্তন চাইছে। আমাদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব বিজেপির আসন কমানো। বাংলাতেও আমাদের একই লক্ষ্য। আমাদের লক্ষ্য এক, তাই প্রত্যেক দল প্রত্যেককে মর্যাদা দিলে তবেই মোদিকে হারানো সম্ভব। যখন প্রত্যেকের লক্ষ্য এক তখন অনেক সময় কাউকে উপর নিচে আসতে হবে, আপস করতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখতে হবে।” যদিও জোট প্রশ্নে হাইকমান্ডকে অস্বস্তিতেই ফেলেছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। তাঁর বক্তব্য, “কাউকে পরোয়া করি না। কংগ্রেস একা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তবে সবটাই দিল্লিতে ঠিক হবে।” রাহুলের যাত্রার চূড়ান্ত রুটও এদিন সামনে আসে। প্রথম দফাতেই বঙ্গে দুদিন বাড়তি সময় দিচ্ছেন রাহুল। সাকুল্যে ৫ দিন কর্মসূচি নির্দিষ্ট ছিল। প্রথম দফাতেই রাহুল বঙ্গে কাটাবেন ৫ দিন। ২৫ তারিখ অসম হয়ে কোচবিহারের বক্সিরহাটে ঢুকবেন। তুফানগঞ্জ হয়ে এসে মা ভবানী চক থেকে পদযাত্রা। খাগড়াবাড়ি চকে হবে জনসভা। সন্ধ্যায় ঘোকসাডাঙায় যাত্রা শেষ করে রাত্রিবাস ফালাকাটায়। সেখানেই ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দুদিনের বিরতি।

তার জন্য আলাদা কর্মসূচি তৈরি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিক, আদিবাসীদের পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে এই দুদিন আলাদা জনসংযোগ করবেন রাহুল। হঠাৎ দুদিন বাড়তি সংযোজনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানাচ্ছে দল। ২৮ তারিখ যাত্রা ফের শুরু। ময়নাগুড়ি হয়ে রাহুল জলপাইগুড়ি ঢুকবেন। বিকেলে শিলিগুড়ির থানা মোড় থেকে এয়ারভিউ মোড়ে এসে হবে সভা। নকশালবাড়ি হয়ে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে এসে হবে রাত্রিবাস। তবে পাহাড়ে রাহুল যাচ্ছেন না নিরাপত্তার কারণে।