SBN: মায়ের সামনে ছেলেকে খুনের দায়ে প্রতিবেশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার আসানসোল জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক সঞ্জিত আমবত্তা এই রায় দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। হীরাপুর থানার বার্নপুরের রহমতনগরের চর্বিমহল্লার ফজল ইমাম খুন হন। পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী মম্মদ আলি ওরফে সনুর বিরুদ্ধে। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক অভিযুক্ত মহম্মদ আলি ওরফে সনুকে দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার গোপাল পাত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ায় অভিযুক্ত জেল থেকে ছাড়া পায়নি। এদিন সাজা ঘোষণার সময় এজলাসে হাজির ছিলেন খুন হওয়া ফজল ইমামের মা মহেজাবিন খাতুন। এত কম সময়ের মধ্যে ছেলের খুনে অভিযুক্ত পড়শির যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় তিনি স্বস্তিতে। সাজা ঘোষণার পরে মহেজাবিন খাতুন বলেন, ‘আমার সামনে পড়শি ছেলেকে খুন করেছিল।” এই মামলার সরকারি আইনজীবী বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি সকালে ফজল ইমামকে পড়শি মহম্মদ আলি ওরফে সনু ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। প্রথমে তাঁর পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কেটে দেওয়া হয়।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিলো ফজল ইমামের মা মহেজাবিন খাতুনের সামনে। তিনি ছাড়াও আরও দুজন এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ছিলেন। গোটা ঘটনা ঘটিয়ে সনু রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্কুটি নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জখম ফজলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মৃতের মা হীরাপুর থানায় সেদিন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সনুকে। সরকারি আইনজীবী বলেন, “মামলা চলাকালীন প্রতক্ষ্যদর্শীরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। মামলায় সব মিলিয়ে ২২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তারমধ্যে ছিলেন চিকিৎসকও। শেষ পর্যন্ত এদিন ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক সঞ্জিত আমবত্তা পড়শির যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন।” খুন হওয়া যুবকের মা এতো কম সময়ের মধ্যে সাজা ঘোষণা হওয়া আদালতের উপরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মায়ের সামনে ছেলেকে খুনের দায়ে প্রতিবেশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
