Top Newsবহরমপুর লোকসভার প্রার্থী করলে আমি অধীর চৌধুরিকে দু'লক্ষ ভোটে হারাবো।" দাবি হুমায়ূনের

বহরমপুর লোকসভার প্রার্থী করলে আমি অধীর চৌধুরিকে দু’লক্ষ ভোটে হারাবো।” দাবি হুমায়ূনের

SBN NEWS: অবশেষে সুর নরম করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। রবিবার বহরমপুরে হুমায়ুন বলেন, দলীয় বৈঠকের কথা বাইরে এল কেন সেটা আমি যেখানে বলার সেখানে বলব। আমি নেত্রীর উপর আস্থাশীল। দল আমাকে বহরমপুর লোকসভার প্রার্থী করলে আমি অধীর চৌধুরিকে দু’লক্ষ ভোটে হারাবো।” হুমায়ুন বলেন, তৃণমূল নেত্রীকে বহু কটু কথা বলেছেন অধীর। জোটের কি হবে সেটা তিনি জানেন না। কিন্তু যদি বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী দিলে যদি তাঁকে প্রার্থী করা হয় তাহলে হুমায়ুন হারাবেই অধীরকে। বহরমপুরে অধীর চৌধুরি ২০১৯ সালে ৯০ হাজার লিড দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে বহরমপুরে ৫০ হাজার লিড পাওয়ার আশা রয়েছে অধীরের। কিন্তু বাকি ছ’টি বিধানসভায় তৃণমূল প্রচুর লিড দিয়ে দু’লক্ষ ভোটে জয়ী হবে বলে দাবি করেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, “প্রার্থী কে হবে তা দলের বিষয়। নেত্রী যদি বলেন আমাকে ইস্তফা দিতে, চুপচাপ বসে থাকতে ,আমি প্রয়োজনে তাই করব। কিন্তু দ্বিতীয় কোনও কথা বলবো না।” বর্তমানে দলের শৃঙ্খলা থাকুক সেটাই তিনি চান। অন্যদিকে এদিনই বেলডাঙায় এক সভায় হুমায়ুন শুভেন্দু অধিকারীকে ‘চোরের মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন। বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে হুমায়ুন বলেনস “লুটেপুটে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারি।” এদিন বেলডাঙা ছাপাখানা মোড়ে বেলডাঙা শহর ও ব্লক তৃণমূলের ডাকে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়। যে সভাকে বিজেপির পাল্টা সভা বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এদিন ইটাহারের বিধায়ক মোসারফ হোসেন এই সভায় বলেন, “মিথ্যাচার করছে বিরোধি শিবির। তৃণমূল জেল সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে অপমান করার অধিকার নেই বিজেপির। বিজেপির লজ্জা নেই, গণ মাধ্যম এদের টিকিয়ে রেখেছে। মাইক্রোস্কোপিক দল বিজেপি। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমুল যদি অভিন্নভাবে লড়াই করে, তাহলে জেলার তিনটি আসনে জয়ী হওয়া সম্ভব।” এদিনের জনসভায় বেলডাঙা বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ, রেজিনগর বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আতিবুর রহমান, বেলডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। এদিনের জনসভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।