নিজস্ব সংবাদদাতা: জিমন্যাস্টিক্সের বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জয়ী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার করকাই চককৃষ্ণ গ্রামের প্রণতি নায়েক। তিনমাস আগে চীনে অনুষ্ঠিত ১৯তম এশিয়ান গেমসে ওমেন্স আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক ভোল্ট স্থান করতে না পারায় কিছুটা হতাশ হয়েছিল। কিন্তু তার জেদ আর অনুশীলন মিশরের কাইরোতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ভল্ট ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন প্রণতি। ফাইনালে ১৩.৬১৬ স্কোর করেন প্রণতি। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলার মেয়েকে। এই সাফল্যের জন্য প্রণতিকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন তার পরিবার।
প্রণতির জামাইবাবু সমরজিৎ মুড়া বলেন, উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছে। উড়িষ্যায় তার অনুশীলন করেন। এই সাফল্যে আনন্দিত গর্বিত। আশা ছিল তিন মাসের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাবে।” জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপের পদক প্রণতিকে প্যারিস অলিম্পিক্সের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল। বাবা শ্রীমন্ত নায়েক মা প্রতিমা বলেন, “শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ফোন করেছিল প্রণতি। তার সাফল্যে গর্বিত তো বটেই তবে আগামী আরো তিনটি প্রতিযোগিতার জন্য তাকে আরো পরিশ্রম করতে হবে।”
প্রণতির বোন তপতী বলেন, দিদির সাফল্যের খবর মোবাইলের মাধ্যমে দেখেছি। আজকে মিশর ঘুরতে গিয়েছে। কালীপুজোর সময় বাড়ি এসেছিল, আবার আরেকটা প্রতিযোগিতার পর বাড়ি আসবে বলে জানিয়েছে।” প্রতিমা বলেন, ছোট বেলা থেকেই খেলার সঙ্গে মন ছিল, ওর মেজ মামী ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক। শ্রীমন্ত বলেন, আমরা গর্বিত মেয়ের সাফল্যে। অভাবের সংসার, এখন খেলাধুলার সাথে সংসার এর দায়িত্ব প্রণতির উপর। বাবা পেশায় বাসের চালক হলেও কয়েক বছর আর সেই কাজ করতে পারছেন না।