Top Newsডেবরায় বন্যা দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন খড়গপুর পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ

ডেবরায় বন্যা দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন খড়গপুর পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ

খড়গপুর: ধীরে হলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ডেবরায়। যদিও এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে ডেবরা ব্লকের মলিঘাটি ও গোলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। শুক্রবার দিনও নৌকায় করে এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পৌঁছে দিতে হয়েছে। চালু রয়েছে কমিউনিটি কিচেন। তবে জল একেবারে নেমে গিয়েছে লোয়াদা-ষাঁড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর ধীরে হলেও জল নামছে ভবানীপুর ও ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা থেকে। যদিও এখনও জল রয়েছে ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হৈনানপুর, শ্যামনগর, দুর্লভচক, রঘুনাথপুর, ভাঙ্গাবাঁধ, বৈকুণ্ঠপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর, জগন্নাথপুর, ভরতপুর, বলভদ্রপুর এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। ফলে এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরগুলিতে রয়েছেন। ডেবরার বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়ি বলেন, “পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে মলিঘাটি ও গোলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি এলাকা এখনও জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র খাবার বিলি করছি। তার সঙ্গে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকেই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছে প্রশাসন। এদিকে এই বন্যার কবলে পড়ে জলমগ্ন চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে এদিকে এই বন্যায় এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। যদিও এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় নি। এই ব্যাপারে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়া বলেন, “চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছু রাস্তার ক্ষতি হয়েছে ঠিকই। তবে কতটা কি হয়েছে এখনও নির্ধারণ করা হয় নি। কারণ এখন প্রথম কাজ জলবন্দি মানুষজনের কাছে খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। এই কাজটি আমরা সবাই মিলে এখন করছি।” এদিকে শুক্রবার থেকে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ডেবরা ব্লকের চারটি বন্যা কবলিত চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আরও দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন বাঁধগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়ি। তবে কৃষির ক্ষতি কতটা হয়েছে সেটি এখনও পর্যন্ত কারোর কাছে স্পষ্ট না হলেও এই ক্ষতি যে বিপুল পরিমাণ সেই ব্যাপারে কারোর কোনও দ্বিমত নেই।