SBN: ক্ষমতা থেকে সরতেই সিপিআইএম-র গায়ে লেগেছে শহুরে গন্ধ। গ্রামে লাল পার্টি আর দাগ কাটতে পারছে না। গ্রামের কমরেডদের অভিযোগ, লাল নিশান এখন কেবল শহরকেন্দ্রিক। সেই দুর্নাম ঘোচাতে কৃষক, শ্রমিক, মজুর, বস্তি সংগঠনদের নিয়ে ব্রিগেড ডেকেছে সিপিআইএম। সূত্রের খবর, দলের চিন্তা একটাই মাঠ ভর্তি হবে তো? রবিবার দুপুরে বামেদের শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর-বস্তি সংগঠনের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে শ্রমকোড বাতিল, ১০০ দিনের কাজ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, চাকরির নিরাপত্তা, বেসরকারিকরণ, ফসলের ন্যায্য মূল্য সহ কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠবে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হবেন বাম নেতৃত্ব।
ব্রিগেডে বক্তা হিসেবে থাকছেন অনাদি সাহু, অমল হালদার, সুখরঞ্জন দে, নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু ও মহম্মদ সেলিম। মীনাক্ষী না থাকায় ক্ষোভ রয়েছে দলের নিচুতলার কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে। ব্রিগেডের প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। শনিবার বিকালে তা দেখে এসেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এবারে বামেদের মঞ্চের নকশা বদলেছে। লম্বায় ছোট হয়েছে মঞ্চটি। মোটামোটি ৩০০ মিটার এগিয়েছে। শেষবার ব্রিগেডের মঞ্চ হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটমুখী। এবার তা ফের ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে হয়েছে। গোটা ময়দান লাল পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। মঞ্চের পিছনের বাতানুকূল ঘর থেকে প্রযুক্তিগত কাজকর্ম করা হবে।
জানা যাচ্ছে, হাওড়া, শিয়ালদহ, খিদিরপুর-সহ শহরের মোট ৮টি জায়গা থেকে বেলা ১টায় মিছিল শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শহরে অতিরিক্ত আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবেন আজ। ১১টি জায়গায় পুলিশ পিকেট ও ১২টি সহায়তা কেন্দ্র থাকছে।
রবিবারের ব্রিগেড ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়েছে পুলিশের তরফে। ডোরিনা ক্রসিং, মেয়ো রোড, চৌরঙ্গি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাতটি পুলিশ পিকেটিং থাকছে। পার্কিংয়ের জন্য ছ’টি জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হচ্ছে। সভাস্থলে পুলিশকর্মীরা মোতায়েন থাকবেন। মিছিলেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। ব্রিগেড সমাবেশে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ছ’জন আধিকারিক থাকবেন। ১২ জন করে এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবেন। এছাড়াও ৮০ জন পুলিশ কর্মী থাকবেন। মহিলা পুলিশ থাকছেন ১৫ জন।
শূণ্যের গেরো কাটাতে ব্রিগেডেমুখী বাম কর্মী সমর্থকরা
