নিজস্ব সংবাদদাতা: বাড়ির উঠোন হোক বা পাশের জমি, বাদ যায়নি কোনও জায়গাই। জমিতে ফলেছে পিঁয়াজ, লঙ্কা, বেগুন। কিন্তু, তার আড়ালেই রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ। সবটাই হচ্ছে আবগারি দফতরের নাকের ডগাতেই। অভিযোগ করেছেন স্থানীয় একাংশ। কিন্তু, সব জেনেও কেন চুপ আবগারি দফতর? প্রশ্নটা উঠছিল বেশ কিছুদিন থেকেই। এমনই চাঞ্চল্যকর ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের বলপাই, বিষ্ণুপুর, বুড়াল, মোহাড় সহ একাধিক এলাকায়। অভিযোগ,সবং ব্লকের বলপাই অঞ্চলের খাগড়াগেড়িয়া গ্রামে থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুর, বুড়াল, মোহাড় অঞ্চল এলাকায় প্রকাশ্যেই রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ। গৃহস্থ বাড়ির উঠোন থেকে বাড়ির সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা, মাঠ, সর্বত্রই চলছে গাঁজার চাষ। গাঁজা চাষ বেআইনি জেনেও গ্রামবাসীরা লঙ্কা গাছ,পিঁয়াজ গাছ, বেগুন গাছের ফাঁকেই বসিয়েছেন গাঁজার গাছ।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সবং এর বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা চাষ হচ্ছে। এই গাঁজা এখান থেকে বাইরে চালান হচ্ছে। আর এই গাঁজার নেশায় বুদ হচ্ছে কিশোরেরা। শুধু গাঁজা চাষ নয়, এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চলছে চোলাই মদের আসর। এই বিষয়ে আবগারি দফতরকে বারবার জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। আবগারি দফতর যে আদতে ঠুঁটো, তা স্থানীয়দের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে।
অন্যদিকে সবং ব্লকের বলপাই অঞ্চল এলাকার গাঁজা চাষী তথা সবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য গুরুপদ মাইতি বলেন, মমতা ব্যানার্জি আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি ঘরে ঘরে মদের লাইসেন্স দেয়,গাঁজা চাষতো অবৈধের কোন গল্প নেই। আমাদের এলাকায় কোন গাঁজা চাষের গল্প নেই। ফালতু কথা, চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।