নিজস্ব সংবাদদাতা: ত্রিকোণ প্রেমের শেষ পরিণতি প্রেমিককে মোবাইলে ফোন করে ডেকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া। বড়ঞার পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে এমনই তথ্য জানতে পারল পুলিশ। বড়ঞা থানার পুলিশ সেই প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে কান্দি মহকুমা আদালতে সোমবার হাজির করে। বিচারক ছ’দিন পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রেমিকার নাম মামনী দাস। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, বড়ঞার বব্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ সাহাকে (২৬) খুনের ঘটনায় রয়েছে ত্রিকোণ প্রেম। প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে খুন হওয়া যুবকের মোবাইল ফোন। এই ঘটনা পিছনে আরও যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরও ইতিমধ্যেই খোঁজখবর শুরু করা হয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করে নিহত যুবকের বাবা হিরু সাহা জানিয়েছেন, “সাত দিন আগেই ছেলের মোবাইলে একটি ফোন এসেছিল তারপরই ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আর ছেলের সাথে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইলও সুইচ অফ হয়। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই আমরা পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করি এবং পুলিশকে বারবার জানাই সহযোগিতা করার জন্য আবেদন করি। কিন্তু পুলিশ কোন কর্ণপাত করেনি। আমাদের সন্দেহ হয় যে মেয়ে কে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই সব জানে। এমনকি তিন দিন আগে ছেলের মোবাইল ওই মহিলার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। পুলিশ সেই বাড়ির কাউকেই গ্রেফতার করেনি। ওর সাথে আরও কেও রয়েছে।
পাশাপাশি যে জলাশয় থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেও বহুবার খোঁজা হয়েছে তখন কিছুই ছিল না। সম্ভবত আমার ছেলেকে আটকে রেখে খুন করে দেহ লোপাট করার জন্য কোথাও রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে খুনিরা পুকুরের ধারে রাতের অন্ধকারে ফেলে যায়।