Top NewsSports News: ভারতীয় অ্যাথলিটের দল থেকে হঠাৎ নাম বাদ নারায়ণগড়ের আভা খাটুয়ার

Sports News: ভারতীয় অ্যাথলিটের দল থেকে হঠাৎ নাম বাদ নারায়ণগড়ের আভা খাটুয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি: আশা নিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে যোগ দিতে গেলেও চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকায় হতাশ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম খুড়শির গ্রামের আভা খাটুয়ার পরিবার। অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্যায়ের অনুশীলনে পোল্যান্ডে যখন ব্যস্ত তখন আভার নাম নেই চূড়ান্ত তালিকায়। লম্বা তালিকায় জায়গা হয়নি শটপাট ইভেন্টে আভার নাম। গত এপ্রিলে ভুবনেশ্বর ১৮.৪১ মিটার শটপাট ছুঁড়ে সোনা জিতেছিলেন আভা। করেছিলেন জাতীয় রেকর্ড।

জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজ্য প্রতিযোগিতায় ১৭.৫৩ মিটার ছুঁড়ে সোনা জেতে। মহারাষ্ট্রের হয়ে প্যারিস অলিম্পিকে শটপাট ইভেন্টে যোগ দিতে যায় বাংলার মেয়ে আভা খাটুয়া। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের খুড়শি গ্রামে। গত ৬ জুলাই শনিবার পাটিয়ালার উদ্দেশে রওনা দেন আভা। বর্তমানে পাটিয়ালা জাতীয় ক্যাম্পে অনুশীলন করেন। তিনি মুম্বইয়ে কাস্টমে কর্মরত। মুম্বই থেকেই প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। যাওয়ার আগে আভা জানিয়েছেন, তিনি অন্তর থেকে বাংলার হয়ে খেলতে চান।

আভা বলেন, “প্যারিস অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আনন্দ হচ্ছে। একজন এ্যাথেলিক্ট যখন খেলাধুলা শুরু করে তখন তার স্বপ্ন থাকে অলিম্পিক। আমারও সেই লক্ষ্য ছিল। আমি মহারাষ্ট্রের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি।” তবে নাম না থাকার বিষয়ে তার সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি, তাই তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আভা শুরুটা বাংলায় করেছিল ২০০৯ থেকে ২০২১ পশ্চিমবঙ্গের হয়ে খেলে।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকবার চেষ্টা করে কিন্তু কোন সুযোগ সুবিধা স্পোর্টস কোটাতেও পায়নি বলে আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন আভা। তিনি বলেছিলেন, তাই বাধ্য হয়ে মহারাষ্ট্রে কাস্টমসে কাজে যোগ দিলাম ২০১৯ সালে ওখান থেকে বলা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলতে হবে। আমি এখনও বাংলায় ফিরতে চায়।” নারায়ণগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম খুড়শির লক্ষ্মীকান্ত খাটুয়ার মেয়ে আভা। তিনি ভাগচাষী। মেয়েকে পড়ানোর এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সে ভাবে সহযোগিতা করতে পারেননি তিনি। ২০১০ সালে প্রথম জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় পদক পান আভা। ২০১১ সালে মাধ্যমিক পাশ করে গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন আভা। আভা বেলদা কলেজের ছাত্রী ছিলেন।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় হেপ্টাথেলন বিভাগে সোনা পান আভা। তাঁর হাত ধরেই সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম সোনা পায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। পরে আভা হেপ্টাথেলন ছেড়ে শটপাটে মন দেন। বাবা লক্ষ্মীকান্ত খাটুয়া বলেন, “কত আশা নিয়ে মেয়ে অলিম্পিকে অংশ নিতে গিয়েছিল। কিন্তু শুনেছি তার নাম তালিকায় নেই। খুবই খারাপ লাগছে।” মা মঞ্জু বলেন, “মেয়ের সাথে কথা হয়নি। তবে শুনেছি তার নাম তালিকায় নেই। প্যারিসেই আছে মেয়ে।”