Top Newsপৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে, সবংয়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন তুলসী চারা মেলায় মাটি দিতে...
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে, সবংয়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন তুলসী চারা মেলায় মাটি দিতে ভিড় পুণ্যার্থীদের
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শুরু সবং-পটাশপুরে অনুষ্ঠিত ছয় দিনের তুলসী চারার মেলা। ৫০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই মেলা। শুধু তাই নয়,তুলসী চারার মেলা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও প্রাচীন মেলা। পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে নদীবক্ষে রয়েছে তুলসী মন্দির। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে তুলসী চারার মেলা শুরু হয়। এই তুলসী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এই মেলার নামকরণ-তুলসী চারার মেলা। প্রায় ১২ বিঘা জায়গা জুড়ে মেলা বসে। অতীতে সন্ত্রাসের কারণে ১ দিনের জন্য মেলা বসত। বর্তমানে মেলা চলে ৬ দিন। তুলসী চারার মেলার আর একটি বিশেষত্ব হল তুলো। দীর্ঘদিন ধরেই থেকেই এই মেলায় পসরা সাজিয়ে আসছেন তুলো ব্যবসায়ীরা। নানা ধরনের তুলো কেনাবেচা হয় এই মেলাতে। এছাড়াও এই মেলায় পাওয়া যায় ভাবসংগীত ও লোকসংগীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। সময়ের সাথে আকারে ও বহরে বেড়েছে তুলসীচারার মেলা। একে একে মেলায় যোগ হয়েছে মাটির সামগ্রী হাড়ি,কলসি,শিলনোড়া,ঝাঁটা,কুলো, সবজি,মাছ ও সবং- পটাশপুরের পরিচিত মাদুর এবং বাগমারির শঙ্খ, বিভিন্ন মিষ্টি-কদমার পসরা। দেখতে দেখতে তুলসীচারা মেলা শেষ। আবারও শুরুর দিন গোনা। আসলে এই মেলা ঘিরেই থাকে বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষের যত আবেগ। মেলার কটা দিনের ছুটির জন্য বছরভর এক নাগাড়ে কাজ করে চলা। কিন্তু এই মেলার পরিবার,আত্মীয়ের সঙ্গে মানুষ মেতে ওঠেন। মেলা মানেই ঘরে ফেরা। মেলা মানেই নতুন জামায় সারাদিন আড্ডা আর টইটই। সেই সঙ্গে অবশ্য জমিয়ে খাওয়া-দাওয়াও রয়েছে। তুলসীচারা মেলা আসছে,এটাই যেন এলাকার মানুষের কাছে ভালো খবর। মেলার কোন দিন কী পোশাক পরা হবে,সাজ কেমন হবে,হেয়ার কাটিংই বা কেমন হবে তা নিয়ে প্ল্যানিং চলতেই থাকে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা,হাতের জমা কাজ শেষ করা,ব্যাগ গুছনোর মধ্যে অন্য একটা আনন্দ থাকে। যাঁরা সারাবছর কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকেন। কাজ শেষে এই মেলায় একদিন তাঁদেরও কাজ থেকে ছুটি। মোট কথায় সকলেই যে যার মতো করে এই কটা দিন উপভোগ করেন।