নিজস্ব সংবাদদাতা: বেহাল রাস্তার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে একাধিক গ্রাম। রাতবিরেতে হঠাৎ করে কারও শরীর খারাপ হলে মৃত্যু নিশ্চিত। কারণ? এই গ্রামে ঢুকতে পারে না কোনও অ্যাম্বুলেন্স। অথচ,ব্লক অফিস থেকে সবং-এর এই গ্রামের দূরত্ব মোট ১২ কিলোমিটার। কেবল ভোট আসে-যায়। নেতা থেকে বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু,রাস্তার সংস্কার হয় না। এই গ্রামের নাম দশগ্রাম। যেটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৪ দশগ্রাম অঞ্চল। ভৌগোলিক অবস্থান বলছে,গ্রামের চারপাশে তিন কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে জমাটি খাজুরি বাজার,কেলেঘাই নদী,সুন্দর মনোরম পরিবেশে রয়েছে একাধিক হাইস্কুল-প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এর পাশাপাশি রয়েছে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। গ্রামে প্রচুর পরিবারের বসবাস। কিন্তু এই গ্রামের বেশিরভাগ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তাঘাট। রাস্তা নিয়ে কেউ কখনও ভাবেননি। খাজুরী বাজার থেকে হাটপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা সেটিও দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায়। এদিকে কাচারীবাগান থেকে পুরো মুসলিম পল্লী এলাকায় বেহাল রাস্তা। এই রাস্তা গুলোয় চলাচলের অযোগ্য। চারচাকা গাড়ি শুধু নয়, দুইচাকা গাড়ি নিয়ে গ্রামে যাওয়া প্রায় অসাধ্য। গোটা রাস্তা খানাখন্দে ভরা আর মাটির পরিবর্তে রয়েছে বড় বড় পাথর। স্থানীয় ভাষায় বলা হয় বোল্ডার। সিপিএমের আমলে দীর্ঘ বছর আগে পঞ্চায়েত থেকে বোল্ডার আর মোরাম দিয়ে চলাচলের যোগ্য রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। ব্যস ওই পর্যন্তই! তারপর কত জল বয়ে গিয়েছে। রাস্তা আছে রাস্তাতেই! ওই রাস্তায় এখন পড়ে রয়েছে শুধু পাথর বা বোল্ডার। পায়ে হেঁটে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। রাতবিরেতে অসুখ বিসুখ বা প্রসব যন্ত্রণা উঠলে প্রমাদ গোনেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের প্রবীণ মহিলাদের দাবি গ্রামে কোনও আত্মীয়রা আসতে চাননা। বেহাল রাস্তার জন্য উন্নয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন গ্রাম। আজ পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়নি। উত্তর দিতে পারেনি প্রশাসন। ভোট আসছে, ভোট যাচ্ছে। কোথায় রাস্তা! কবে তৈরি হবে সেই রাস্তা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।