নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় সরস্বতী পুজো। এই দিনটি বসন্ত পঞ্চমী হিসেবেও পরিচিত। এদিন থেকে শীত ঋতুর অবসানে বসন্তের শুভ আগমন বার্তা ধ্বনিত হয়। ক’দিন বাদেই সরস্বতী দেবীর আগমন,তারই কাজ চলছে জোরকদমে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত পড়েছেন। তাই মৃৎশিল্পীদেরও এখন বিশ্রামের সময় নেই। দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত তাঁরা। এখন চলছে বাঁশ, খড় ও কাদামাটি দিয়ে প্রতিমার কাঠামো তৈরি ও প্রলেপ দেওয়ার প্রাথমিক কাজ। ছোট-বড়- মাঝারি বিভিন্ন মাপের প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ তুঙ্গে। শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন মূর্তি গড়তে। এই মাটির কাজের উপরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, ডেবরা, বেলদা, দাঁতন, খড়গপুর সহ আরো অন্যান্য এলাকার শিল্পীরা নির্ভরশীল। দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে সরস্বতী পূজো পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরি করেন এখানকার মৃৎশিল্পীরা। তাঁদের তৈরি এই মূর্তিই শহর-গ্রামের বিভিন্ন বাজার ছেয়ে যায়। সবং এলাকার এক মৃৎশিল্পী বৈদ্যনাথ মন্ডল জানান, ” দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে সরস্বতী পুজো পর্যন্ত ভালই বিক্রিবাট্টা হচ্ছে। এ বছর সরস্বতী ঠাকুরের বায়না অনেকটাই বেড়েছে। ছোট বড় সব ধরনের ঠাকুরের বায়না হয়েছে। শুধু তাই নয়। দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই। শুধু একটু মাটির দাম বাড়াতে ঠাকুরের দামও একটু বাড়াতে হয়েছে।”