কলকাতাগ্রেফতার শেখ শাহজাহানের অন্যতম সঙ্গী উত্তম সর্দার

গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের অন্যতম সঙ্গী উত্তম সর্দার

SBN DIGITAL: অশান্তি রুখতে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিতেই শান্ত হয়েছে সন্দেশখালি। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেখ শাহজাহানের অন্যতম সঙ্গী উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। দুপুরে উত্তমকে দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। উত্তমের বিরুদ্ধে এলাকার কিছু মানুষ দু’দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। গ্রেপ্তার করা হয় বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিকাশ সিংহকেও। এর বিরুদ্ধে হাঙ্গামায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার রাত থেকেই গোটা এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। শনিবার সকাল থেকে একদিকে ড্রোন উড়িয়ে চলেছে নজরদারি, অন্যদিকে পুলিশ ও র‍্যাফের যৌথ বাহিনী গ্রামে টহল দিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। গন্ডগোল বাধানোর জন্য ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় যখন শান্ত হয়েছে সন্দেশখালি, তখন প্ররোচনা দিয়ে বিজেপি ফের এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে বিজেপির প্রতিনিধিদল জোর করে এলাকায় ঢুকতে চেয়ে নতুন করে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করে। বিজেপির ২৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উত্তম সর্দারকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলগতভাবে তদন্ত হবে। চারজনের একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে দেন। যেখানে তিনজন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, রথীন ঘোষ-সহ আছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁদের বলা হয়েছিল এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট জমা দিতে। শনিবার দুপুর ১২টায় সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। এর পরই দল সিদ্ধান্ত নেয় ৬ বছরের জন্য উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হল।” পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, “মানুষের কথাকে গুরুত্ব দেওয়াই তৃণমূলের প্রধান কাজ। সেই এলাকা থেকে উত্তমের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ সামনে আসতেই দল কঠোর পদক্ষেপ করেছে।” দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কিছু পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সন্দেশখালি থেকেই গ্রেপ্তার হন উত্তম।